শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা শুরুর ঘোষণা ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ শুরু হচ্ছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পুতিনের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা টেলিফোনে কথা বলেন ট্রাম্প।

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘অতি দ্রুত আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছেন’। তারা একে অপরকে নিজেদের রাজধানী সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।

ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। পরে তিনি বলেন, ‘স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য শান্তির’ বিষয়ে আলাপ করেছেন তিনি।

যুদ্ধরত দুটি দেশের কাছ থেকে এমন এক সময় এই আহ্বান এলো যখন ট্রাম্প এবং তার প্রতিরক্ষা সচিব দুইজনই বলেছেন ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানের সম্ভাবনা কম। যেটি কিয়েভের জন্য হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

জেলেনস্কি বলেছেন, শুক্রবার মিউনিখে ইউক্রেন সংক্রান্ত এক প্রতিরক্ষা শীর্ষ সম্মেলনের সময় তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং স্টেট সেক্রেটারি মার্কো রুবিও’র সঙ্গে দেখা করবেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প আরও লিখেছেন, এখনই এই নৃশংস যুদ্ধ বন্ধ করার সময় এসেছে, যেখানে ব্যাপক এবং সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ‘মৃত্যু এবং ধ্বংসযজ্ঞ’ হয়েছে। বিধাতা রাশিয়া এবং ইউক্রেনের জনগণের মঙ্গল করুন!

পুতিনের সঙ্গে কবে সরাসরি সাক্ষাৎ হবে তা জানাননি ট্রাম্প। তবে পরে তিনি এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সৌদি আরবে দেখা করবো।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, একসঙ্গে কাজ করার সময় এসেছে– ট্রাম্পের এই ধারণাকে সমর্থন করেন পুতিন।

পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ফোনালাপ চলে বলেও জানান পেসকভ। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেনের ২০১৪ সালের আগের সীমান্তে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।

তবে বিবিসির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই জমির কিছু অংশ ফিরে আসবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তিনি তার ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথের সঙ্গে একমত। যিনি বুধবার ন্যাটো সম্মেলনের শুরুতে বলেছিলেন যে ইউক্রেনের সামরিক জোটে যোগদানের কোনো সম্ভাবনা নেই।

আমি মনে করি এটা সম্ভবত সত্য, বলেন ট্রাম্প ।

যুক্তরাজ্যের সরকার জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রাইনার আইটিভি-কে বলেছেন, কিয়েভের প্রতি লন্ডনের সমর্থন আগের মতোই ‘দায়িত্বপূর্ণ’ থাকবে।

বিবিসির জেমস ওয়াটার হাউস ইউক্রেনের রাজধানীর পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেছেন, হেগসেথের ভাষণ কিয়েভের জন্য একটি বড় ধরনের ধাক্কা হবে। যদিও এটি দীর্ঘদিন ধরেই জানা যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন তার পূর্বসূরিদের তুলনায় ইউক্রেনের প্রতি কম সহানুভূতিশীল ছিল, হেগসেথের প্রতিটি বক্তব্য সম্ভবত শুধু মস্কোকে খুশি করেছে।

জেলেনস্কি বারবার যুক্তি দিয়েছেন, ইউক্রেন ছাড়া ইউক্রেন নিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে না। কিন্তু ট্রাম্প ও পুতিনের ফোনালাপটি তার অনুপস্থিতিতেই হয়েছিল।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com